ডোপ টেস্টে মাদকাসক্তির প্রমাণ পাওয়ায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ১০ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। মাদকাসক্তির অভিযোগে এর আগে ১৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। সেখান থেকেই ১০ জনকে চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ডিএমপির মোট ১৮ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। মামলা নিষ্পত্তি শেষে তাদের মধ্যে ১০ জনকে চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’
ডোপ টেস্টে যাদের বিরুদ্ধে মাদকাসক্তির প্রমাণ মিলে প্রথম তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়। তদন্তে মাদকাসক্তির সত্যতা মিললে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সে সময় একটি সাময়িক চাকরিচ্যুতির আদেশ জারি করা হয়। এরপর ওই পুলিশ সদস্যকে শোকজ করে এর জবাব দিতে বলা হয়। জবাব দেওয়ার পর চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত করা হবে কি হবে না, তা নির্ধারণ করা হয়।’
ডিএমপির কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনার স্যার দায়িত্ব নিয়েই ঘোষণা দিয়েছিলেন, পুলিশের মধ্যে ডোপ টেস্ট করা হবে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। মাদকের ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলি। এখানে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।’
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের বিরুদ্ধে মাদকাসক্তির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে মধ্যে সাতজন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন সার্জেন্ট, পাঁচজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), পাঁচজন নায়েক এবং ৫০ জন কনস্টেবল।
যে ১০ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের মধ্যে কারো কারো বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় যুক্ত থাকারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মাদক আটকের পর সরকারি কোষাগারে কম জমা দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।